নিউ ইয়র্কে পার্কিং পার্টনার খুঁজে দেবে ‘পার্ক ওয়াচ’

টিবিএন ডেস্ক

জুন ১১ ২০২৩, ১২:০৩

পার্ক ওয়াচ অ্যাপে বাঁচবে নিউ ইয়র্কবাসীর সময়। ছবি: পার্কওয়াচঅ্যাপ ডটকম

পার্ক ওয়াচ অ্যাপে বাঁচবে নিউ ইয়র্কবাসীর সময়। ছবি: পার্কওয়াচঅ্যাপ ডটকম

  • 0

নিউ ইয়র্ক সিটির রাস্তায় পার্কিং স্পট পাওয়া মানে যেন লটারি জিতে নেয়া। শহরের প্রায় সবখানে বেশিরভাগ সময় গাড়ি রাখার জায়গা পাওয়া যায় না। গাড়ি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুরতে হয় এদিক-সেদিক। এই সংকট থেকে মুক্তি দিতে পরীক্ষামূলক চালু হয়েছে 'পার্ক ওয়াচ নামের একটি অ্যাপ।

এই অ্যাপ মূলত গাড়িচালককে পার্কিং পার্টনার খুঁজে দেবে। অর্থাৎ অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের সুবিধামতো জায়গায় পার্কিংয়ের জন্য আরেকজনের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হতে পারবেন। একজন নির্দিষ্ট সময় শেষে স্পটে পৌঁছালে আরেকজন স্পট ছেড়ে চলে যাবেন। আবার পরের জন সময়মতো ফিরে এলে সরে যাবেন আগের জন।  

এভাবে চালকরা সপ্তাহজুড়ে ব্যবহারের জন্য পার্কিং স্পট খুঁজে নিতে পারবেন। আবার পার্টনার পছন্দ না হলে বদলেও নিতে পারবেন নির্দিষ্ট সময় পর।

অ্যাপের নির্মাতা কোর্টনি স্টার্ন বলেছেন, এখন পরীক্ষামূলকভাবে অ্যাপটি আপার ওয়েস্ট ও ইস্ট সাইডে বসবাসকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ধীরে ধীরে এর আওতায় নেয়া হবে সিটির অন্যান্য এলাকা। 

তিনি বলেন, ‘আমি মূলত পার্কিং কমিউনিটিতে অ্যাপের মেম্বারদের কাছ থেকে সময়সূচি নিয়ে নেই। এরপর তাদের চাহিদা অনুযায়ী পার্কিং স্পট ও পার্টনার মিলিয়ে দেই।’

পার্ক ওয়াচ অ্যাপ এখন বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাচ্ছে। এটির মাধ্যমে পার্কিং পার্টনার খুঁজে পেয়েছেন হোযে পাউলিনো ও গ্যারি মাসটো এবং ডমিনিক জিন্স ও আলি ফাডিল।

ওয়াশিংটন হাইটসের বাসিন্দা পাউলিনো বলছেন, তিনি যখন আপার ইস্ট সাইডে কর্মস্থলে আসেন, তখন তার পার্কিং বন্ধু মাসটো ওয়েস্টচেস্টারে কাজে যাওয়ার জন্য তৈরি হন। মাসটো তার পার্কিংয়ে জায়গাটা পাউলিনোকে দিয়ে যান।

মাসটো বলেন, ‘পাউলিনো ফিরলে আমি চলে যাই। আবার সে চলে যাওয়ার সময় আমি ফিরি। একটি পার্কিং স্পট আমার জন্য অপেক্ষা করছে, বাড়ি ফেরার সময় সে জন্য আমাকে এদিক ওদিক ঘুরতে হচ্ছে না, এ জন্য বিরক্তি কমে গেছে।’

ডমিনিক জিন্স পার্ক ওয়াচে খুঁজে পেয়েছেন পার্টনার আলি ফাডিলকে।

তিনি বলেন, ‘আমি ব্রুকলিনে কাজ করি… আপার ওয়েস্ট সাইডে বাড়িতে ফিরে আসলে সেখানে পার্কিংয়ে অপেক্ষায় থাকেন ফাডিল। তিনি ফিরে যান শহরতলীতে।’

জিন্স জানান, আগে গ্যারাজ ফি বাবদ মাসে এক হাজার ডলার পর্যন্ত গুনতে হতো। আশা করছেন এখন সময়ের পাশাপাশি ওই অর্থও সাশ্রয় হবে।

স্টার্ন জানান, অ্যাপে আরও সদস্য বাড়লে এটি পুরোপুরি চালু করে দেবেন। ফি যতটা সম্ভব সাশ্রয়ী করবেন বলেও জানান তিনি। 


0 মন্তব্য

Do you like cookies? 🍪 We use cookies to ensure you get the best experience on our website. Learn more...