শুক্রবার কার্যকর হতে চলেছে, যানবাহন আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত। গোটা বিশ্বের সঙ্গে অ্যামেরিকার এই অঘোষিত বাণিজ্যযুদ্ধে, ক্যানাডা এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যদি অ্যামেরিকার ওপর চাপ তৈরি করতে একসাথে কাজ করে, তাহলে তাদের উপর “আরও চড়া” শুল্ক আরোপ করা হবে বলে ইতোমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এর প্রতিক্রিয়ায় ক্যানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বৃহষ্পতিবার বলেন, অ্যামেরিকার অযৌক্তিক শুল্ক, বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তি ভঙ্গ করেছে।
অটোয়াতে অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট মিটিং শেষে প্রধানমন্ত্রী কার্নি সংবাদকর্মীদের বলেন, ডনাল্ড ট্রাম্পের আরও চড়া শুল্ক আরোপের হুমকির সমুচিত জবাব ক্যানাডা সামনের সপ্তাহেই দেবে।
এদিকে, ক্যানাডার বেসরকারি খাতের বৃহত্তম ইউনিয়ন – ইউনিফরের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট লানা পেইন বুধবার এক বিবৃতিতে অ্যামেরিকার শুল্ক আরোপকে ক্যানাডিয়ান অটোকর্মীদের ওপর "অন্যায় আক্রমণ" বলে অভিহিত করেন।
এই শুল্ক যুদ্ধের অর্থনৈতিক ধাক্কা বর্ডারের দুই পাশেই বোঝা যাবে বলে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আর অ্যামেরিকানদের সতর্ক করেন পেইন।
এদিকে, বৃহষ্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাউথ কোরিয়ার শিল্পমন্ত্রী আন ডাক জিউন জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্কআরোপের ফলে, তাদের যানবাহন নির্মাতারা বড় ধরণের ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। এপ্রিল মাসেই সাউথ কোরিয়া এবিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।
জাপান, চায়না, আর জার্মানির সরকার আর গাড়ি শিল্প-সংশ্লিষ্টরা ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত চড়া শুল্ক নিয়ে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেছে। চায়নার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুয়ো জা-কুন বলেন, অ্যামেরিকার এই ২৫ শতাংশ শুল্ক ওয়ার্ল্ড ট্রেড ওর্গানাইযেশনের নিতিমালা ভঙ্গ করেছে।
আমদানি করা গাড়ির ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষনা বৈশ্বিক অটোমোটিভ শিল্পের ওপর যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলেছে তার বাস্তব প্রমান মিলেছে স্পেনের সান্তান্দার বন্দরে। বৃহষ্পতিবার থেকেই শত শত গাড়ি এখানে খালাস হওয়ার অপেক্ষায় পড়ে আছে। ইউরোপিয়ান কমিশন ইতোমধ্যেই ঘোষনা দিয়েছে তারা ট্রাম্প প্রশাসনের অতিরিক্ত শুল্ক মোকাবেলায় কাজ করছে।