ট্রাম্প জিতলে আবারও পরমাণু আলোচনা শুরু করতে চায় নর্থ কোরিয়া

টিবিএন ডেস্ক

আগস্ট ১ ২০২৪, ১৩:৫৮

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

  • 0

রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প নভেম্বরের নির্বাচনে জিতে পুনরায় হোয়াইট হাউযের দায়িত্ব নিলে নর্থ কোরিয়া পুনরায় পরমাণু আলোচনা শুরু করতে চায় বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক।

কিউবা থেকে পালিয়ে সাউথ কোরিয়ায় চলে আসা নর্থ কোরিয়ান কূটনীতিক রি ইল গিউ রয়টার্সের কাছে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান।

২০১৬ সাল থেকে কিম প্রশাসনের পক্ষ ত্যাগ করলেও গত মাসে নর্থ কোরিয়ান ওই কূটনীতিকের পলায়নের ঘটনা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর শীর্ষ আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়।

আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাত্কারে রি বলেছেন, নর্থ কোরিয়া পরমাণু আলোচনার জন্য নতুন আলোচনা কৌশল তৈরি করতে কাজ করছে।

তিনি বলেছেন, নর্থ কোরিয়া রাশিয়া, অ্যামেরিকা এবং জাপানকে চলতি বছরের পাশাপাশি পরবর্তী বছরগুলোরতে পররাষ্ট্র নীতির অগ্রাধিকারের তালিকায় শীর্ষে রেখেছে।

পূর্ববর্তী মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সময় ট্রাম্প নর্থ কোরিয়ার সঙ্গে নজিরবিহীনভাবে পরমাণুসহ অন্য বিষয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন।

এ বিষয়টিকে তুলে ধরে রি দাবি করেন, মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি ট্রাম্প আবারও অ্যামেরিকার ক্ষমতায় আসলে পিয়ংইয়ং পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় চালু করতে আগ্রহী।

তিনি বলেছেন, পিয়ংইয়ংয়ের কূটনীতিকরা সেই আলোচনার জন্য একটি কৌশল তৈরি করেছেন, যার লক্ষ্য নর্থ কোরিয়ার ওপর দেয়া অস্ত্র কর্মসূচির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া, সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পশ্চিমা বিশ্বের দেয়া উপাধি অপসারণ করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সহায়তা অর্জন করা।

নর্থ কোরিয়ান এই কূটনীতিকের সাম্প্রতিক বিবৃতিগুলো সশস্ত্র সংঘর্ষের সতর্কতার মধ্যে অ্যামেরিকার সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা এবং পিয়ংইয়ংয়ের বর্তমান অবস্থান থেকে সরে এসে সম্ভাব্য ইতিবাচক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয় ৷

২০১৯ সালে ভিয়েতনামে নর্থ কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং ট্রাম্পের মধ্যে আয়োজিত একটি শীর্ষ সম্মেলন নিষেধাজ্ঞার কারণে স্থগিত হয়ে পড়ে।

এর জন্য রি আংশিকভাবে দেশটির ‘অনভিজ্ঞ এবং অজ্ঞ’ সামরিক কমান্ডারদের পারমাণবিক কূটনৈতিক দক্ষতাকে দায়ী করেছেন।

রি বলেন, ‘কিম জং উন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কূটনীতি বা কৌশলগত সিদ্ধান্ত কীভাবে নিতে হয় সে সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানেন না।’

তিনি আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, ‘এবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্যই কৌশলগত ক্ষমতা অর্জন করবে এবং আলোচনার দায়িত্ব নেবে। ট্রাম্পের পক্ষে চার বছরের মধ্যে কিছু না দিয়ে আবারও নর্থ কোরিয়ার হাত-পা বেঁধে রাখা এত সহজ হবে না।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন




Do you like cookies? 🍪 We use cookies to ensure you get the best experience on our website. Learn more...