প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নতুন অভিবাসন নীতির শিকার হলেন, আরো এক বিদেশী শিক্ষার্থী। গত মঙ্গলবার ম্যাসাচুটেসের সামারভিলে, টাফ্টস ইউনিভার্সিটির টার্কিশ শিক্ষার্থী রামিসা অযটার্ককে তাঁর বাড়ির কাছ থেকে গ্রেফতার করে আইস।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ত্রিশ বছর বয়সি রামিসার পথরোধ করেন; আগে থেকেই ওত পেতে থাকা সাধারণ পোশাকধারী আইসের এক এজেন্ট। রামিসা পিছু হটার চেষ্টা করলে আরো কয়েকজন এজেন্ট এসে তাকে ঘিরে ধরেন। এসময় একজন তাঁর ফোন কেড়ে নেন। এরপর রামিসাকে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই আইস এজেন্টদের সবার মুখ ঢাকা ছিল।
রামিসা অযটার্ক টাফ্টস ইউনিভার্সিটির একজন পিএইচডি শিক্ষার্থী। তিনি টাফ্টস চিলড্রেন টেলিভিশন প্রজেক্টের একজন গবেষণা সহযোগী। সাবেক ফুলব্রাইট এই স্কলার বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করতে যাওয়ার পথে গ্রেফতার হন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই রামিসাকে গ্রেফতার করা হয়।
রামিসাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সামারভিলে বিক্ষোভে অংশ নেয় সহস্রাধিক মানুষ।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক ব্যক্তি বলেন, তিনি ইযরায়েলকে ভালোবাসেন। কিন্তু ভিন্ন মতাদর্শের কারণে কাউকে এভাবে গ্রেফতার করা সমর্থন করেন না।
আরেক প্রতিবাদকারী বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিভিন্ন পদক্ষেপে সৃষ্ট, অসংখ্য উদ্বেগের একটি উদাহরণ এটি।
একের পর এক বিদেশী শিক্ষার্থীকে গ্রেফতারের ঘটনা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের মাঝে ভীতির সঞ্চার করেছে।
এক বিবৃতিতে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট দাবি করে- আইস এবং ডিএইচসের তদন্তে, অটযার্কের বিরুদ্ধে প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে সমর্থন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার গায়ানায় সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে এ নিয়ে কথা বলেন, স্টেইট সেক্রেটারি রুবিও।
রুবিও বলেন, তাদের অবস্থান স্পষ্ট অ্যামেরিকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি উদ্দেশে কেউ আসতে পারবে না।
অন্যদিকে, এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাসাচুসেটসের একজন ফেডারেল বিচারক আদালতের অনুমতি ছাড়া রামিসা অযটার্ককে স্টেইটের বাইরে না নেয়ার নির্দেশ দেন। তবে, বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায় এই আদেশ দেয়ার আগেই তাকে লুইযিয়ানায় স্থানান্তর করা হয়েছে।