বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, একটি ভালুকের পিছনের পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার একটি ভাইরাল ভিডিওর প্রতিক্রিয়ায় হাংঝু চিড়িয়াখানা বলেছে দর্শকেরা প্রজাতিটির বৈশিষ্ট্য ‘বুঝতে পারেনি’।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা ধারণা করেছিলেন ভালুকটি ছদ্মবেশী কোনো মানুষ হতে পারে। চিড়িয়াখানা বিবৃতিতে বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে ছোট প্রজাতির ভালুক হচ্ছে সান ভালুক। এটি সাধারণত একটি বড় কুকুরের আকারের হয়ে থাকে।
সান ভালুকের বাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রেইনফরেস্টের মধ্যে। এটি ভালুকের একটি বিপন্ন প্রজাতি।
ভিডিওতে দেখা যায়, সান ভালুকটি তার খাঁচার প্রান্তে লম্বা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এসময় সে দর্শনার্থীদের দেয়া খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিলো।
ওই ভিডিও দেখে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন এতো সরু পা নিয়ে সান ভালুকটি কিভাবে মানুষের মত দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়া তার কোমরের কাছে চামড়া এমন ভাবে ভাজ হয়ে ছিলো দেখে মনে হচ্ছিল কোনো ব্যক্তি ভালুকের পোশাক পড়ে ভালুক সেজে আছে।
অ্যাঞ্জেলা নামের সান ভালুকটির দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা একটি পোস্টে হাংঝু চিড়িয়াখানা বলেছে, ‘কিছু লোক মনে করেছে আমি একজন মানুষের মতো দাঁড়িয়ে আছি। আমার মনে হচ্ছে তুমি আমাকে খুব ভালো বুঝতে পারছ না।’
হাংঝু চিড়িয়াখানার পোস্টে উল্লেখ করা হয় ভালুকগুলি তাদের পিছনের পায়ে দাঁড়ানোর অবস্থায় ১.৩ মিটার (৪ ফুট) লম্বা হয়। এটি নর্থ অ্যামেরিকার স্থানীয় গ্রিজলি ভালুকের আকারের চেয়ে অর্ধেকেরও কম।
চিড়িয়াখানার এক কর্মী বার্তা সংস্থা এপিকে ফোনে জানিয়েছেন, সোমবার সাংবাদিকদের ভালুকটিকে দেখার ব্যবস্থা করা হয়।
চেস্টার জু-এর বিশেষজ্ঞ ডক্টর অ্যাশলে মার্শাল বলেছেন, ভিডিওতে দেখা ভালুকটি ‘অবশ্যই একটি সত্যিকারের ভালুক।’ তিনি এটিও জানিয়েছেন সান ভালুকগুলোকে প্রায়শই ‘পোশাক পরা মানুষের মতো দেখায়।’
ডক্টর মার্শাল ব্যাখ্যা করেন, ভাঁজগুলি শিকারীদের হাত থেকে ভালুককে রক্ষা করতে সহায়তা করে। চামড়ার শিথিলতা ভালুককে ‘ঘুরে দাঁড়াতে’ ও বাঘের মতো বড় প্রাণীর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।