রাফাহ শহরে ইযরায়েলি সেনা অভিযান বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে: হামাস

বাসস

ফেব্রুয়ারি ১১ ২০২৪, ১১:১৮

গাজায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইযরায়েল। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইযরায়েল। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

গাজার হামাস শাসকরা শনিবার সতর্ক করেছে, বাস্তুচ্যুত প্যালেস্টেনিয়ানদের শেষ আশ্রয়স্থল জনাকীর্ণ রাফায় ইযরায়েলের পরিকল্পিত সেনা অভিযানের কারণে শহরটিতে বহু হাজার লোকের হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।

ইযরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে রাফায় অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি শুক্রবার গভীর রাতে সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরের ‘জনসংখ্যা সরিয়ে নেয়া এবং হামাসের ব্যাটালিয়ন ধ্বংস করার জন্য একটি সম্মিলিত পরিকল্পনা’ মন্ত্রিসভায় জমা দিতে বলেন।

হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যেকোন সামরিক পদক্ষেপের বিপর্যযয়মূলক প্রতিক্রিয়া হবে। রাফাহ আক্রমণ করলে বহু হাজার শহীদ এবং আহত হতে পারে।’

গত ৭ অক্টোবর ইযরায়েলে হামাসের হামলার জবাবে ইযরায়েলের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কঠোর সমালোচনা করার পর নেতানিয়াহুর এই ঘোষণা বিশ্ব নেতা এবং জাতিসংঘের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয় বলেছে, ‘ইযরায়েলের দখলদারিত্বের পদক্ষেপ এই অঞ্চল ও বিশ্বের নিরাপত্তা ও শান্তি জন্য হুমকি স্বরূপ। এটি সমস্ত রেড লাইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

ইইউ-এর পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল এর আগে শনিবার এক এক্স বার্তায় বলেন, ‘আমি বেশ কয়েকটি ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের সতর্কতার প্রতিধ্বনি করছি যে, রাফায় ইযরায়েলি আক্রমণ একটি অবর্ণনীয় মানবিক বিপর্যয় এবং ইজিপ্টের সঙ্গে গুরুতর উত্তেজনার দিকে নিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘রক্তপাত এড়ানোর একমাত্র উপায় জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য আলোচনা পুনরায় শুরু করা এবং শত্রুতা স্থগিত করা।’

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি এক এক্স বার্তায় সতর্ক করে বলেছেন, ‘গাজায় আরেকটি রক্তপাতের অনুমতি দেয়া যাবে না।’

বৃটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, তিনি রাফাহতে সামরিক আক্রমণের সম্ভাবনা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

তিনি বলেন, ‘অগ্রাধিকার হতে হবে যুদ্ধে অবিলম্বে বিরতি দেয়া, যাতে সাহায্য পাওয়া যায় এবং জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা যায়।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন