কামালা হ্যারিস বলেছেন, তিনি নির্বাচিত হলে তার প্রশাসন সবকিছু নতুন করে শুরু করবে। তিনি বলেন, ‘এটা ভাবার কোন কারণই নেই যে হ্যারিস প্রশাসন বাইডেন প্রশাসনের পথ অনুসরণ করবে।’
তিনি দেশের মানুষক ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টাকে অগ্রাধিকার দেবেন উল্লেখ করে বলেছেন, দেশের মানুষ ডনাল্ড ট্রাম্পের বিভাজনের রাজনীতি দেখতে দেখতে ক্লান্ত এবং তারা আর এই পথে হাঁটতে চায় না।
কামালা এসময় অভিযোগ করে বলেছেন, ট্রাম্প নতুন করে আবারো প্রেসিডেন্ট হলে তিনি দেশে এক নায়কতন্ত্র কায়েম করবেন। তিনি মনে করেন, এর ফলে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে এবং বিশ্বে অ্যামেরিকার মাথা নিচু হয়ে যাবে।
অন্যদিকে আগামী নির্বাচনে প্রত্যেক ভোটারের দায়িত্ব নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া এমন মন্তব্য করেছেন, সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান লিজ চেইনি।
চেইনি মনে করেন, এমন কোনো ব্যক্তির দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়া উচিত সংবিধান প্রশ্নে যিনি রক্ষণশীল এবং সংবিধান রক্ষার বিষয়টিকে যিনি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন।
তিনি দাবি করেন, ডনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই প্রমাণ করেছেন যে তিনি সংবিধানের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল, পক্ষান্তরে কামালা হ্যারিস এদিক থেকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন।
নিজ দলের প্রার্থী ছেড়ে কামালা হ্যারিসকে কেন সমর্থন করছেন জানতে চাইলে, লিজ চেইনি বলেছে, কামালা হ্যারিসের প্রতিপক্ষ ট্রাম্প এমন একজন ব্যক্তি, যিনি নিজের কাজ দিয়ে বরাবরই দেশের জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলেছে। তাই এই দুজনের মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিসকে বেছে নিতে তার দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি।