সাবওয়েতে হত্যাকাণ্ড: নিউ ইয়র্কে ১০ বিক্ষোভকারী গ্রেফতার

টিবিএন ডেস্ক

মে ৯ ২০২৩, ১৯:১৮

জর্ডান নিলি হত্যার প্রতিবাদে চলা বিক্ষোভে পুলিশের ধরপাকড়। ছবি: গেটি ইমেজ

জর্ডান নিলি হত্যার প্রতিবাদে চলা বিক্ষোভে পুলিশের ধরপাকড়। ছবি: গেটি ইমেজ

  • 0

সাবওয়েতে জর্ডান নিলি হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে নিউ ইয়র্ক সিটিতে উত্তেজনা বেড়েছে। হত্যার প্রতিবাদে চলা টানা বিক্ষোভের পঞ্চমদিন ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মলোটোভ ককটেল জব্দের দাবি করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ফটোজার্নালিস্টও আছেন।

সিটিতে সোমবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ চলাকালে এ ঘটনা ঘটেছে।

বিক্ষোভকারীরা জানান, তারা প্রায় দেড়শজন মিলে ব্রডওয়ে-ল্যাফায়েট সাবওয়ে স্টেশনে মিছিল করছিলেন। হঠাৎ পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার শুরু করে। তাদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে।

কুইন্সে সোমবার রাতে এক অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস জানান, বিক্ষোভে বিস্ফোরক পদার্থ নিয়ে আসে বহিরাগতরা।

ককটেল জব্দের বিষয়ে নিউ ইয়র্ক পুলিশ চিফ জেফ্রি ম্যাডেরে বলেন, ‘এটা খুবই বিপদজনক ঘটনা। এসব বিস্ফোরকে বাহিনীর লোকজন, বিক্ষোভকারীদের বা আশপাশ দিয়ে যাওয়া লোকজনের ক্ষতি হতে পারে।’

সিটির সাবওয়ের নর্থবাউন্ড এফ ট্রেনে গত ১ মে শ্বাসরোধে মৃত্যু হয় ৩০ বছর বয়স জর্ডান নিলির।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেদিন ট্রেনে নিলি অন্য যাত্রীদের সঙ্গে আক্রমণাত্মক আচরণ করছিলেন। আরেক যাত্রী তার গলায় জাপটে ধরে। প্রায় ১৫ মিনিট তার গলা চেপে রাখা হয়। অন্য দুই যাত্রী তার হাত-পা চেপে ধরে। এতে নিস্তেজ হয়ে পড়েন নিলি। তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গলা চেপে ধরা ব্যক্তি সাবেক মেরিন সেনা, তার নাম ড্যানিয়েল পেনি।

কৃষ্ণাঙ্গ নিলি ছিলেন গৃহহীন। সাবওয়েতে তিনি সেদিক কাউকে আঘাত করেননি বলে দাবি পরিবার ও আইনজীবীর লেনন এডওয়ার্ডসের।

তারা জানান, মাইকেল জ্যাকসনের মতো সেজে সাবওয়েতে নেচে-গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন নিলি। ১৪ বছর বয়সে নিজের মায়ের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। বিভিন্ন সময় তিনি অনিয়ন্ত্রিত আচরণ করতেন। তবে ঘটনার দিন তিনি কারও কোনো ক্ষতি করেননি।

নিউ ইয়র্কবাসীদের অনেকের মতে, সাধারণ মানুষের জঘন্য সহিংসতার বলি হয়েছেন নিলি। দ্রুতই এর বিচার হওয়া উচিত। নিলির মতো গুরুতর মানসিক রোগে আক্রান্তদের যত্ন নিতে ব্যার্থ এই শহর।

অনেকে বলছেন, জনসমাগমস্থল বিশেষ করে সাবওয়েতে নিউ ইয়র্কাররা ‌সব সময় অনিরাপদ বোধ করে। এমন আতঙ্কের প্রতিক্রিয়া থেকেই ঘটেছে হত্যাকাণ্ডটি।

এ ঘটনায় গত বুধবার থেকে সিটিজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে, ১৫ মিনিট ধরে গলাচেপে ধরে নিলিকে হত্যা করা হয়েছে। তাই ১৫ দিন চলবে বিক্ষোভ।

একদল বিক্ষোভকারী গত শনিবার আপার ইস্ট সাইডে সাবওয়ে ট্র্যাকে নেমে মিছিল করেন। এতে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে পরে সার্ভিস।

নিলির মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে তদন্তে নেমেছে ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস। আগামী সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন গ্র্যান্ড জুরির কাছে হস্তান্তর করা হবে।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন