গুরুগ্রামের কাছে নুহ এলাকায় একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা চলাকালে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ডাকা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের কাছেই একটি মন্দিরে প্রায় আড়াই হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ব্রিজ মন্ডল জলাভিষেক যাত্রা’ নামে ওই শোভাযাত্রা বের করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। শোভাযাত্রাটি নুহের এডওয়ার্ড চওক থেকে মহাসড়কের দিকে আসলে একদল তরুণ শোভাযাত্রা থামাতে পাথর ছুড়তে শুরু করে।
এরপর, এক পক্ষ অন্য পক্ষের সমর্থকদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠার পর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ডাকা হয়েছে। এছাড়া গুরুগ্রামে ইন্টারনেটের সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ১ আগস্ট এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখারও ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
হরিয়ানা পুলিশের এক সদস্য জানিয়েছেন, ওই মিছিলে বজরং দলের সদস্য মনু মানেশ্বরের উপস্থিত হওয়ার গুজব থাকায় এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
গত ফেব্রুয়ারিতে, দুই মুসলিম যুবককে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত মানেশ্বর ও তার সহযোগীরা কয়েক দিন আগে এক ভিডিও পোস্ট করেন এবং চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, যাত্রার সময় তিনি থাকবেন।