ব্যাংককের চাতুচাক বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১ হাজার পশুর মৃত্যু

টিবিএন ডেস্ক

জুন ১১ ২০২৪, ১২:৪৪

আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ বাজারের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ বাজারের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

ব্যাংককের বিখ্যাত উন্মুক্ত বাজার চাতুচাকে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর ৪ টা ১০ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুড়ে প্রায় ১ হাজার প্রাণী মারা গেছে।

কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, বাজারের প্রায় ১,৪০০ বর্গ মিটার জুড়ে থাকা পোষা প্রাণী অংশের ১১৮ টি দোকানের বেশিরভাগই আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় কোন মানুষের হতাহতের বা আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। আগুন লাগার ৩০ মিনিটের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়।

বাজারের পোষা প্রাণী বিক্রয় অঞ্চলটি প্রাণীদের অমানবিক জীবনযাত্রার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সমালোচিত হয়ে আসছে। এছাড়া বাজারের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ প্রাণীদের রোগ ও মৃত্যুর উচ্চ হারের কারণ হিসেবে বিবেচিত।

থাইল্যান্ডের সপ্তাহান্তের বাজারগুলোর মধ্যে বৃহত্তম ও সর্বাধিক পরিচিত চাতুচাক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বড় বাজার। এখানকার সরু গলিতে কয়েক হাজার দোকান রয়েছে। প্রতি শনিবার ও রোববার প্রায় ২০০ হাজার পর্যটক এই বাজারে কেনাকাটা করতে আসে।

তবে বাজারের পোষা প্রাণী বিক্রির অংশটি সপ্তাহজুড়ে খোলা থাকে। এটি চাতুচাক বাজারের ২৭ টি বিভাগের মধ্যে প্রায় চারটি অংশ জুড়ে আছে এবং যুক্তিযুক্তভাবে এটির সবচেয়ে বিতর্কিত বাণিজ্য। বাজারের এই অঞ্চলটি নিয়মিত পরিদর্শন হয়ে থাকে।

আগুন লাগার খবর পেয়ে বাজারে ছুটে যান আম্পর্ন ওয়ানাসুত নামে এক দোকানের মালিক। তিনি বলেন, ‘আমি যখন এখানে আসি, তখন সবকিছু শেষ হয়ে গেছে, সব পুড়ে গেছে। আমি কিছুই করতে পারিনি। ভেতরে অনেক অন্ধকার ছিল। সবাই মারা গেছে।’

৪২ বছর বয়সী এই ব্যক্তি তার দোকানে কচ্ছপ, অজগর, সাপসহ অন্যান্য সরীসৃপকে পোষা প্রাণী হিসেবে বিক্রি করতেন।

কিছু দোকানের মালিক মার্কেটে অবস্থান করলেও আগুন লাগার সময় সেখানে কতজন ছিল তা স্পষ্ট নয়।

থাইল্যান্ডের ওয়াইল্ডলাইফ ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন চাতুচাক বাজারকে ‘ব্যাংককের জন্য লজ্জা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

ফাউন্ডেশনের পরিচালক এডউইন উইক বলেন, ‘প্রায়ই অবৈধভাবে এই অসহায় প্রাণীদের অনেকগুলো দেশে পাচার করা হয়। এটা অনৈতিক, নিষ্ঠুর, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ও সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়।’

তিনি ব্যাংকক মেট্রোপলিটন প্রশাসনকে পশুদের প্রতি এই নির্মম নিষ্ঠুরতা বন্ধ করতে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন