ইংলিশ চ্যানেলে ডুবে ৫ অভিবাসীর মৃত্যু, রুয়ান্ডা নির্বাসন বিল নিয়ে অনড় সুনাক

টিবিএন ডেস্ক

এপ্রিল ২৩ ২০২৪, ১১:২১

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ছবি: সংগৃহীত

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

অভিবাসীদের বিপজ্জনক অভিবাসন ঠেকাতে বৃটেইনে আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় নির্বাসনে পাঠানোর বিল পাস করার কয়েক ঘণ্টা পর ফ্রান্স থেকে ইংলিশ চ্যানেল পার হওয়ার চেষ্টার সময় এক শিশু সহ কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম জাহাজ চলাচল পথের অন্যতম এই চ্যানেলটিতে অভিবাসী বহনকারী নৌকা প্রায় ১১০ জনকে নিয়ে ডুবে যায়। এসময় শিশু ও নারী এবং তিনজন পুরুষ মারা যান। ফ্রেঞ্চ কোস্টগার্ড এখনও জীবিতদের খোঁজে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।

একজন কোস্টগার্ড কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে নৌকাটি উপকূলে আটকা পড়ার পর আবার সমুদ্রের দিকে রওনা দেয়। মূলত নৌকাটি ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে পানিতে ডুবে যায়। এতে বেশ কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত হন।

এ পর্যন্ত কতজনকে উদ্ধার করা হয়েছে বা আরও কতজন নিখোঁজ হতে পারে তা কোস্টগার্ড বা পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি। এরই মধ্যে ফ্রেঞ্চ উপকূল থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে সাউথ বৃটেইনের ডোভারের উপকূলে লাইফ জ্যাকেট পরিহিত ২০ জনেরও বেশি অভিবাসী বহনকারী একটি বৃটিশ সীমান্ত বাহিনীর নৌকা দেখা গেছে।

বৃটিশ সরাকারকে আশ্রয়প্রার্থীদের প্রক্রিয়াকরণের জন্য বৃটেইনে থাকার পরিবর্তে রুয়ান্ডায় পাঠানোর অনুমতি দিয়ে বৃটেইনের পার্লামেন্ট আইন পাস করার পরেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

অভিবাসী চাপ কমানোর বিষয়টি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সরকারের জন্য একটি অগ্রাধিকার হলেও মনে করা হচ্ছে রুয়ান্ডা পরিকল্পনা সরকারের জন্য প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করবে।

মানবাধিকার গোষ্ঠী ও অন্যান্য সমালোচকরা এই পরিকল্পনাকে অমানবিক হিসেবে উল্লেখ করেছে।

বৃটেইনের হোম মিনিস্টার জেমস ক্লিভারলি সাগরে অভিবাসী মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে বলেছেন, ‘এই ট্র্যাজেডিগুলো বন্ধ করতে হবে।’

বিলটি এই সপ্তাহে রাজকীয় অনুমোদন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে বিলটি আইনগত পাস হয়েছে বলে ধরা হবে। সুনাক ১০ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে রুয়ান্ডার উদ্দেশ্যে অভিবাসীদের ফ্লাইটগুলো ছেড়ে যাওয়ার আশা করছেন।

সুনাক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করতে চাই যে আমাদের এটি করার জন্য এবং জীবন বাঁচানোর পথে কিছুই বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না।’

মূলত আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার যুদ্ধ ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা অনেক আশ্রয়প্রার্থী ২০১৮ সাল থেকে ইংলিশ উপকূলে ছোট নৌকায় আসতে শুরু করে।

এই বছর ইতিমধ্যে ছয় হাজারের বেশি অভিবাসী বৃটেইনে এসেছে যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় এক চতুর্থাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর মধ্যেই ২০২১ সালের নভেম্বরে ক্যালাইসের কাছে ২৭ জন অভিবাসী নৌকা ডুবে মারা যায়।

মানব পাচারকারীরা সাধারণত নৌকাগুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে ফলে নৌকাগুলো উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টার সময় ঢেউয়ের কারণে ঝুঁকিতে থাকে।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন